المغرب
মরক্কোএর প্রসঙ্গ মরক্কো
মরক্কো (আরবি: المغرب; বার্বার: ⵍⵎⴰⵖⵔⵉⴱ; ফরাসি: Maroc) বা মরক্কো রাজ্য (আরবি: المملكة المغربية; আল-মামলাকাতুল মাগরিবিয়া ; বার্বার: ⵜⴰⴳⵍⴷⵉⵜ ⵏ ⵍⵎⴰⵖⵔⵉⴱ; ত্যাগেল্দিৎ ন্ ল্মেগ়্রিব্) উত্তর আফ্রিকার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম রাবাত। এটি আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল জুড়ে এবং উত্তরে ভূমধ্যসাগরের জিব্রাল্টার প্রণালী পর্যন্ত বিস্তৃত। মরোক্কোর পূর্বে আলজেরিয়া, উত্তরে ভূমধ্যসাগর ও স্পেন এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। দেশটির দক্ষিণ দিকের সীমানাটি বিতর্কিত। মরোক্কো পশ্চিম সাহারার মালিকানা দাবী করে এবং দেশটি ১৯৭৫ সাল থেকে পশ্চিম সাহারার অধিকাংশ এলাকা নিজের দখলে রেখেছে।
মরক্কো একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। এটি একমাত্র আফ্রিকীয় দেশ, যা আফ্রিকান ইউনিয়নের সদস্য নয়। তবে দেশটি আরব লীগ, আরব মাগরেব ইউনিয়ন, ওআইসি, গ্রুপ অফ ৭৭ ইত্যাদি জোটের সদস্য এবং আফ্রিকায় ন্যাটোর মিত্র দেশ।
More about মরক্কো
- স্থানীয় নাম المغرب
- কলিং কোড +212
- ইন্টারনেট ডোমেইন .ma
- Mains voltage 220V/50Hz
- Democracy index 5.04
- জনসংখ্যা 37076584
- এলাকা 710850
- ড্রাইভিং সাইড right
- প্রাগৈতিহাসিক যুগরোমান বিজয়ের আগে মৌরিতানিয়ার টলেমি ছিলেন শেষ বারবার শাসক, যিনি মৌরিতানিয়া রাজ্য শাসন করেছিলেন।
বর্তমান মরক্কো অঞ্চলে অন্তত পুরা প্রস্তর যুগ থেকে জনবসতি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।[১] সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দাবি করে যে, এই অঞ্চলে সে যুগের আগেকার মানুষের বাসস্থানের প্রমাণ রয়েছে। [২] পুরা প্রস্তর যুগের সময় মাগরেব আজকের তুলনায় অনেক বেশি উর্বর ছিল বলে ধারণা করা হয়। [৩] একটি গবেষণায় মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মাধ্যমে বার্বার ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সামি জাতির মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ পূর্বপুরুষের লিঙ্ক আবিষ্কৃত হয়েছে। এই প্রমাণটি এই তত্ত্বকে সমর্থন করে যে, যারা দক্ষিণপশ্চিম ইউরোপের ফ্রাঙ্কো-ক্যান্টাব্রিয়ান শরণার্থী অঞ্চলে পূর্ব-হিমবাহের সময়কালে বসবাস করেছিল, তারা উত্তর ইউরোপে চলে গিয়েছিল এবং বরফ যুগের পরে এর জনসংখ্যায় অবদান রেখেছিল। [৪] ধ্রুপদী সভ্যতার...আরও পড়ুন
প্রাগৈতিহাসিক যুগকম পড়ুনরোমান বিজয়ের আগে মৌরিতানিয়ার টলেমি ছিলেন শেষ বারবার শাসক, যিনি মৌরিতানিয়া রাজ্য শাসন করেছিলেন।বর্তমান মরক্কো অঞ্চলে অন্তত পুরা প্রস্তর যুগ থেকে জনবসতি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।[১] সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দাবি করে যে, এই অঞ্চলে সে যুগের আগেকার মানুষের বাসস্থানের প্রমাণ রয়েছে। [২] পুরা প্রস্তর যুগের সময় মাগরেব আজকের তুলনায় অনেক বেশি উর্বর ছিল বলে ধারণা করা হয়। [৩] একটি গবেষণায় মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর মাধ্যমে বার্বার ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সামি জাতির মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ পূর্বপুরুষের লিঙ্ক আবিষ্কৃত হয়েছে। এই প্রমাণটি এই তত্ত্বকে সমর্থন করে যে, যারা দক্ষিণপশ্চিম ইউরোপের ফ্রাঙ্কো-ক্যান্টাব্রিয়ান শরণার্থী অঞ্চলে পূর্ব-হিমবাহের সময়কালে বসবাস করেছিল, তারা উত্তর ইউরোপে চলে গিয়েছিল এবং বরফ যুগের পরে এর জনসংখ্যায় অবদান রেখেছিল। [৪] ধ্রুপদী সভ্যতার প্রথম ভাগে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা ও মাগরেব অঞ্চল ধীরে ধীরে ফিনিশিয়ানদের নজর আকর্ষণ করে। তারা সেখানে বাণিজ্য উপনিবেশ ও বসতি স্থাপন করে। [৫] খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে মোগাদর একটি ফিনিশিয়ান উপনিবেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [৬]
ভলুবিলিসে রোমান ধ্বংসাবশেষ।পরবর্তীতে মরক্কো প্রাচীন কার্থেজের উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকীয় সভ্যতার একটি রাজ্যে পরিণত হয় এবং কার্থাজিনিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ হয়। প্রাচীনতম রাজ্য হিসেবে পরিচিত স্বাধীন মরক্কো রাজ্য তৎকালীন রাজা বাগার অধীনে মৌরিতানিয়ার একটি বার্বার রাজ্য ছিল। [৭] এই প্রাচীন রাজ্য খ্রিস্টপূর্ব ২২৫ সালের দিকে বিকাশ লাভ করেছিল। মৌরিতানিয়া খ্রিস্টপূর্ব ৩৩ সালে তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যের একটি ক্লায়েন্ট রাজ্যে পরিণত হয়েছিল। সম্রাট ক্লডিয়াস ৪৪ খ্রিস্টাব্দে সরাসরি মৌরিতানিয়া দখল করেন এবং এটিকে গভর্নর শাসিত একটি রোমান প্রদেশে পরিণত করেন।
তথাকথিত '৩য় শতাব্দীর সংকট' চলাকালীন বার্বাররা মৌরিতানিয়ার কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করে। ফলস্বরূপ ৩য় শতাব্দীর শেষের দিকে প্রত্যক্ষ রোমান শাসন মাত্র কয়েকটি উপকূলীয় শহরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। যেমন: সেউতা ও চেরচেল। ৪২৯ খ্রিস্টাব্দে রোমান সাম্রাজ্য মৌরিতানিয়ায় তার অবশিষ্ট প্রভাব ও ক্ষমতা হারায় এবং স্থানীয় মৌরো-রোমান রাজারা এর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। ৫৩০- এর দশকে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য সেপ্টাম ও টিংগিরে সাম্রাজ্যিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। তারা টিঙ্গিসকে সুরক্ষিত করে এবং সেখানে একটি গির্জা নির্মাণ করে।
ভিত্তি ও প্রাথমিক ইসলামি যুগফেসে ইদ্রিসিদ মুদ্রা, 840 খ্রি.মুসলিমদের মাগরেব বিজয় ৭ম শতাব্দীর মাঝামাঝি উমাইয়া খিলাফতের সময় সংঘটিত হয়। এই বিজয় মাগরেবে ইসলাম ও আরবি ভাষা উভয়ই নিয়ে আসে। তবে বৃহত্তর ইসলামী সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে মরক্কো প্রাথমিকভাবে ইফ্রিকিয়া প্রদেশ হিসাবে সংগঠিত হয় এবং সাম্রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্ধারিত গভর্নর কর্তৃক শাসিত হয়।[৮] ইসলাম আগমনের ফলে আদিবাসী বার্বার উপজাতিরা ইসলাম গ্রহণ করে। তারা মুসলিম প্রশাসনকে ইসলামি আর্থিক কর (জাকাত) ও শ্রদ্ধা প্রদান করত। [৯] আধুনিক মরক্কো অঞ্চলে প্রথম স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র ছিল নেকোর রাজ্য। এটি রিফ পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত একটি আমিরাত ছিল। ৭৩৯ সালে বারবার বিদ্রোহের প্রাদুর্ভাবের পর বার্বাররা আরো কয়েকটি স্বাধীন রাজ্য গঠন করে।
৯ম শতাব্দীতে ফেস নগরে প্রতিষ্ঠিত আল-কারাউইয়ীন বিশ্ববিদ্যালয়। এটি তৎকালীন একটি প্রধান আধ্যাত্মিক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র ছিল।মধ্যযুগীয় ইতিহাস মতে, আব্বাসীয় বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ইরাকে নিজ গোত্রের ওপর গণগত্যা থেকে পালিয়ে ইদ্রিস ইবনে আবদুল্লাহ মরক্কোতে পালিয়ে যান। তিনি আওরাবা বার্বার উপজাতিদের দূরবর্তী বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাদের প্রতি আনুগত্য ভঙ্গ করতে রাজি করান এবং ৭৮৮ সালে ইদ্রিসি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ইদ্রিসিরা ফেসকে তাদের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে এবং মরক্কোকে মুসলিম শিক্ষার কেন্দ্র ও একটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত হয়। ৯২৭ সালে ফাতেমীয় খিলাফত তাদের মিকনাসা মিত্রদের মাধ্যমে ইদ্রিসিদের ক্ষমতাচ্যুত করে। কিন্তু মিকনাসারূ ৯৩২ সালে ফাতেমিদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং ৯৮০ সালে তাদের ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়।
বার্বার সাম্রাজ্য ও রাজবংশমুওয়াহহিদিন রাজবংশের সাম্রাজ্য। ১২১২ সালে যখন সর্বাধিক বিস্তৃত ছিল।১১ শতকের পর থেকে স্থানীয় বার্বার রাজবংশগুলির উদ্ভব শুরু হয়।[১০][১১][১২] তখন মুরাবিতুন রাজবংশ ও মুওয়াহহিদিন রাজবংশ মরক্কো, মাগরিব, ইবেরীয় উপদ্বীপের আল-আন্দালুস ও পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে।[১৩] ১৩ শতকের পর থেকে দেশটিতে বনু হিলাল আরব উপজাতিরা ব্যাপক অভিবাসন গ্রহণ করে। মুরাবিতুন রাজবংশ ১০৪০ থেকে ১১৪৭ সাল পর্যন্ত মরক্কো শাসন করে। এরপর মুওয়াহহিদিনরা ১১২১ থেকে ১২৬৯ সাল পর্যন্ত শাসন পরিচালনা করে।
মুওয়াহহিদিনদের পতনের পর মারিনি, হাফসিসহ বিভিন্ন রাজবংশ মরক্কো তথা মাগরেবের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। ১৫৪৯ সাল থেকে ১৬৫৯ সাল পর্যন্ত সাদী রাজবংশ দেশটি শাসন করে। ১৬৬৭ সাল থেকে সামনের বছরগুলোতে আলবীয়রা মরক্কোর শাসক রাজবংশের অধিপতি ছিল। ১৫ শতকে আটলান্টিক সমুদ্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে পর্তুগিজরা মরোক্কোর কিছু উপকূলীয় অঞ্চল দখল করে নিলেও তা দেশের অভ্যন্তরকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেনি।
আধুনিক যুগ১৫৪৯ সাল এই অঞ্চলটি পুনরায় আরব রাজবংশের হাতে চলে যায়। তারা নিজেদের নবিজি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশধর বলে দাবি করে। প্রথম সাদি রাজবংশ ১৫৪৯ থেকে ১৬৬৯ সাল পর্যন্ত শাসন করে এবং তাদের আলবীয় রাজবংশ ১৭ শতক থেকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। তখন মরক্কো স্পেনীয় আগ্রাসনের মুখোমুখি হয় এবং উসমানীয় সাম্রাজের মিত্ররা তাদের পশ্চিম দিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
সাদি সুলতান আহমেদ আল-মনসুরের ষোড়শ শতাব্দীর বাদি' প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ ।সাদি রাজবংশের অধীনে ১৫৭৮ সালে দেশটি আল কাসার কুইবিরের যুদ্ধে পর্তুগিজ আভিজ রাজবংশের অবসান ঘটায়। বিখ্যাত সাদি সুলতান আহমাদ আল-মনসুরের রাজত্বে সালতানাত প্রচুর নতুন সম্পদ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জন করে এবং ১৫৯১ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় একটি বড় অভিযান চালিয়ে সোংঘে রাজ্যে একটি বিপর্যয় ঘটায়। আহমদ মনসুরের ওফাতের পর দেশটি তার পুত্রদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।
সাদি রাজবংশের পতনের সময় বহু রাজনৈতিক বিভক্তি ও সংঘাতের পর শেষ পর্যন্ত ১৬৬০ এর দশকের শেষের দিকে আলবীয় সুলতান আল-রশিদ গোটা মরক্কোকে পুনরায় একত্র করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ফেজ এবং ১৬৬৮ সালে মারাকেশ অধিগ্রহণ করেন।[১৪] এরপর আলবীয়রা তাদের অবস্থান স্থিতিশীল করতে সফল হয়। রাজ্যটি এই অঞ্চলে পূর্ববর্তীদের তুলনায় ছোট হলেও তা বেশ ধনী ছিল। স্থানীয় উপজাতিদের বিরোধিতার দমন করে আলবীয় শাসক ইসমাইল ইবনে শরীফ একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র তৈরি করতে শুরু করেন।[১৫] তার রিফিয়ান আর্মি ইংরেজদের থেকে ১৬৮৪ সালে টাঙ্গিয়া পুনরায় দখল করে নেয়। ১৬৮৯ সালে ইংরেজরা স্প্যানিশদের তাড়িয়ে দিয়ে এটি দখল করেছিল। ১৭৬৯ সালে পর্তুগিজরা মরক্কোতে তাদের শেষ অঞ্চলটি পরিত্যাগ করে চলে যায়।
মরক্কো ছিল প্রথম দেশ, যারা ১৭৭৭ সালে স্বাধীন হওয়া নতুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[১৬][১৭][১৮] আমেরিকান বিপ্লবের শুরুতে আটলান্টিক মহাসাগরে মার্কিন ব্যবসায়িক জাহাজগুলি বার্বার জলদস্যুদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। ১৭৭৭ সালের ২০ ডিসেম্বর মরক্কোর সুলতান তৃতীয় মোহাম্মদ ঘোষণা করেন যে, মার্কিন বণিক জাহাজগুলি সালতানাতের সুরক্ষার অধীনে থাকবে এবং এইভাবে তারা নিরাপদ পথ উপভোগ করতে পারবে। মরোক্কা-মার্কিন বন্ধুত্বের চুক্তি ১৭৮৬ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম নির্বিচ্ছিন্ন বন্ধুত্ব চুক্তি হিসাবে দাঁড়ায়। [১৯] [২০]
ফরাসি ও স্প্যানিশ উপনিবেশবাদ: ১৯১২ থেকে ১৯৫৬হিস্পানো-মরোক্কা যুদ্ধের (১৮৫৯-১৮৬০) পরে ওয়াদ রাসের চুক্তি মরোক্কোর জাতীয় কোষাগারকে দেউলিয়া করে দেয়। কোষাগারকে ব্রিটিশ ঋণ নিতে বাধ্য করে।ইউরোপে শিল্পায়নের সাথে সাথে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা উপনিবেশ স্থাপনের সম্ভাবনাময় আদর্শ অঞ্চল হয়ে ওঠে। ১৮৩০ সালের প্রথম দিকে ফ্রান্স মরক্কো দখলের দৃঢ় আগ্রহ দেখানো শুরু করে। এটি শুধুমাত্র তার আলজেরীয় ঔপনিবেশিক অঞ্চলের সীমানা রক্ষা করা জন্যই নয়; বরং ভূমধ্যসাগর ও উন্মুক্ত আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলসহ মরক্কোর কৌশলগত অবস্থানের কারণেও তারা মরক্কো দখলে মরিয়া ছিল।[২১] ১৮৬০ সালে সেউতা ছিটমহল নিয়ে বিরোধের কারণে স্পেন মরক্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এতে স্পেন সেউতাসহ আরো একটি ছিটমহল বসতি দখল করে। ১৮৮৪ সালে স্পেন মরক্কোর উপকূলীয় অঞ্চলে একটি উপনিবেশ তৈরি করে।
১৮৭৩ সালে তানজাহর জনসংখ্যার মধ্যে ৪০,০০০ মুসলিম, ৩১,০০০ ইউরোপীয় ও ১৫,০০০ ইহুদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।১৯০৪ সালে ফ্রান্স ও স্পেন মরক্কোতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। ফ্রান্সের প্রভাব বিস্তারে যুক্তরাজ্যের সম্মতি জার্মান সাম্রাজ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয় এবং ১৯০৫ সালে পরাশক্তিগুলির মাঝে একটি সংকট দেখা দেয়। ১৯০৬ সালে আলজিয়ার্স সম্মেলনে তা সমাধান করা হয়। ১৯১১ সালের আগাদির সংকট ইউরোপীয় শক্তিগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। ১৯১২ সালের ফেজ-চুক্তি মরক্কোকে ফ্রান্সের একটি আশ্রিত রাজ্য করে তোলে এবং ফেজ-দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটায়।[২২] একই চুক্তির মাধ্যমে স্পেন উত্তর উপকূলীয় ও দক্ষিণ সাহারা অঞ্চলে ক্ষমতা রক্ষার ভূমিকা গ্রহণ করে। [২৩] তখন মরক্কো পরাশক্তিগুলির বাটোয়ারায় পরিণত হয়ে খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যায়।
তখন কয়েক হাজার উপনিবেশবাদী মরক্কোতে প্রবেশ করে। তাদের কেউ প্রচুর পরিমাণে সমৃদ্ধ কৃষিজমি ক্রয় করে এবং অন্যরা খনি ও পোতাশ্রয়ের শোষণ ও আধুনিকায়নের আয়োজন করে। এই উপনিবেশবাদী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলি ক্রমাগতভাবে ফ্রান্সকে মরক্কোর উপর তার নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য চাপ দেয়। মরক্কোর ঔপনিবেশিক ফরাসি প্রশাসক জেনারেল হুবার্ট লাউতে আন্তরিকভাবে মরক্কীয় ইসলামি সংস্কৃতির প্রশংসা করেন এবং একটি আধুনিক স্কুলব্যবস্থা তৈরি করার সময় একটি মরক্কো-ফরাসি যৌথ প্রশাসন আরোপ করতে সফল হন। মরক্কোর সৈন্যদের বেশ কয়েকটি বিভাগ প্রথম ও দ্বিতীয় উভয়ই বিশ্বযুদ্ধে ফরাসি সেনাবাহিনীতে ও স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধে এবং এর পরে স্পেনীয় জাতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল। [২৪] [২৫]
১৯২১ ও ১৯২৬ সালের মধ্য আব্দুল কারিমের নেতৃত্বে রিফ পর্বতমালায় একটি বার্বার বিদ্রোহ রিফ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যায়। তাদের ঠেকাতে ১৯২১ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে স্প্যানিশরা ১৩,০০০ জনেরও বেশি সৈন্য হারায়। বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত ফরাসি এবং স্প্যানিশ সৈন্যদের যৌথ আক্রমণে দমন করা সম্ভব হয়।[২৬] ১৯৪৩ সালে মরক্কোর পুরনো মিত্ররাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে মরক্কোর স্বাধীনতার জন্য ইস্তিকলাল পার্টি (স্বাধীনতা পার্টি) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলটি পরবর্তীকালে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করে।
১৯৫৩ সালে ফ্রান্স সুলতান মোহাম্মদ পঞ্চমকে মাদাগাস্কারে নির্বাসিত করে। তখন তার স্থলাভিষিক্ত মোহাম্মদ বিন আরাফা ফরাসি ও স্পেনীয় উপনিবেশের বিরোধিতা শুরু করে। তখন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সহিংসতা ওজদাতে ঘটে। মরক্কোর জনগণ রাস্তায় রাস্তায় ফরাসি ও অন্যান্য ইউরোপীয় বাসিন্দাদের আক্রমণ করে। ফলে ১৯৫৫ সালে ফ্রান্স মোহাম্মদ পঞ্চমকে ফিরে আসার অনুমতি দেয় এবং পরের বছর মরক্কোর স্বাধীনতার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। [২৭] ১৯৫৬ সালের মার্চে ফরাসি উপনিবেশবাদের অবসান ঘটে এবং মরক্কো একটি রাষ্ট্র হিসাবে ফ্রান্সের কাছ থেকে তার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। এক মাস পরে স্পেন উত্তর মরোক্কোতে তার দখলে থাকা অঞ্চল ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে তার দুটি উপকূলীয় ছিটমহল সেউতা ও মেলিলা দখলে রাখে। এই শহর দুটি একেবারে মরক্কোর উপকূল ঘেঁষে এবং অতীতে মরক্কোর অন্তর্ভুক্ত থাকার কারণে মরক্কো আজও এর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। মরক্কো স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৭ সালে সুলতান মোহাম্মদ রাজা হন।
স্বাধীনতা-পরবর্তী১৯৪৪ সালের মরক্কোর স্বাধীনতার ঘোষণা ।মোহাম্মদ পঞ্চম এর সমাধি, রাবাত।পঞ্চম মোহাম্মদ মৃত্যুর পর ১৯৬১ সালে দ্বিতীয় হাসান মরক্কোর রাজা হন। ১৯৬৩ সালে মরক্কোয় প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৫ সালে বাদশাহ হাসান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং সংসদ স্থগিত করেন। ১৯৭১ সালে রাজাকে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা করা হয়। ট্রুথ কমিশনের তথ্য অনুসারে হাসানের শাসনামলে বিভিন্ন সহিংসতায় প্রায় ৫৯২ জন মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৬৯ সালে দক্ষিণে ইফনির স্পেনীয় ছিটমহল মরক্কোকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালে স্প্যানিশ সাহারায় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পলিসারিও আন্দোলন গঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর রাজা হাসান মরক্কোর স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে স্প্যানিশ সাহারায় প্রবেশ করতে বলেন। তখন প্রায় ৩৫০,০০০ বেসামরিক নাগরিক এই বাহিনীর সাথে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।[২৮] একমাস পরে স্পেন স্প্যানিশ সাহারা ছেড়ে দিয়ে এবং আলজেরিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি সত্ত্বেও এটিকে যৌথভাবে মরক্কো-মোরিতানীয় নিয়ন্ত্রণে স্থানান্তর করতে সম্মত হয়। তখন মরক্কোর বাহিনী এলাকাটি দখল করে নেয়। [২৯]
কিছুদিন পর পশ্চিম সাহারায় মরোক্কা ও আলজেরীয় সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় শুরু। তখন মরক্কো এবং মৌরিতানিয়া পশ্চিম সাহারাকে বিভক্ত করে। মরক্কোর সামরিক বাহিনী ও পলিসারিও বাহিনীর মধ্যে লড়াই বহু বছর ধরে চলতে থাকে। দীর্ঘায়িত যুদ্ধ মরক্কোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক হুমকি ছিল। ১৯৮৩ সালে হাসান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পরিকল্পিত নির্বাচন বাতিল করেন। ১৯৮৪ সালে আংশিক স্বীকৃত সাহরাউই গণতান্ত্রিক আরব প্রজাতন্ত্রকে সমর্থন করার প্রতিবাদে মরক্কো আফ্রিকান ইউনিয়ন ত্যাগ করে। পলিসারিও বাহিনী ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ৫,০০০ ও বেশি মরক্কোর সৈন্য হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে।
আলজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে সাহারা অঞ্চলের শরণার্থীর সংখ্যা ১৬৫,০০০ বলে অনুমান করেছে। [৩০] মরক্কো ও আলজেরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৮৮ সালে পুনরায় স্থাপিত হয়। ১৯৯১ সালে পশ্চিম সাহারায় জাতিসংঘের নিরীক্ষণে একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু অঞ্চলটির অবস্থা অনিশ্চিত এবং প্রায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের রিপোর্ট করা হয়। পরের দশকে ভূখণ্ডটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রস্তাবিত গণভোট বিষয়ে অনেক ঝগড়া হলেও এর অচলাবস্থা ভাঙা হয়নি। ১৯৯০ এর দশকে রাজনৈতিক সংস্কারের ফলে ১৯৯৭ সালে একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মরক্কোর প্রথম বিরোধী নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৯৮ সালে ক্ষমতায় আসে।
ক্যাসাব্লাঙ্কায় বিক্ষোভকারীরা দাবি করে যে, কর্তৃপক্ষ তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানায়।রাজা দ্বিতীয় হাসান ১৯৯৯ সালে মারা যান এবং তার পুত্র ষষ্ঠ মোহাম্মদ তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি অত্যন্ত সতর্ক ও একজন উন্নয়নকামী রাজা।[৩১] ২০০২ সালে ষষ্ঠ মোহাম্মদ পশ্চিম সাহারায় একটি বিতর্কিত সফর করেন। ২০০৭ সালে মরক্কো কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের কাছে পশ্চিম সাহারার জন্য একটি স্বায়ত্তশাসনের নীলনকশা উন্মোচন করে। পলিসারিও এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে এবং তার নিজস্ব প্রস্তাব পেশ করে। মরক্কো ও পলিসারিও ফ্রন্ট নিউইয়র্কে আলোচনা করে এবং কোনো চুক্তি ছাড়াই তা সমাপ্ত হয়। ২০১০ সালে নিরাপত্তা বাহিনী পশ্চিম সাহারার একটি প্রতিবাদ শিবিরে হামলা চালায় এবং এর ফলে আঞ্চলিক রাজধানী আল ঊয়ুনে সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে।
২০০২ সালে মরক্কো ও স্পেন বিতর্কিত দ্বীপ প্রেজিল নিয়ে মার্কিন মধ্যস্ততায় একটি প্রস্তাবে সম্মত হয়। মরক্কোর সৈন্যরা সেখানে অবতরণ করে এবং স্পেনীয় সৈন্যরা সাধারণভাবে জনবসতিহীন দ্বীপটি নিয়ে তাঁবু এবং একটি পতাকা স্থাপন করে। ২০০৫ সালে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়, যখন শত শত আফ্রিকান অভিবাসী স্প্যানিশ ছিটমহল মেলিলা ও সেউতার সীমান্তে জড়ো হয়। তখন মরক্কো শত শত অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করে। ২০০৬ সালে স্প্যানিশ প্রিমিয়ার জাপাতেরো স্প্যানিশ ছিটমহল পরিদর্শন করেন। তিনি ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম স্প্যানিশ নেতা, যিনি এসব অঞ্চলে সরকারী সফর করেন। পরের বছর স্প্যানিশ রাজা জুয়ান কার্লোস প্রথম সেউতা ও মেলিলা পরিদর্শন করেন, যা মরোক্কোকে আরো ক্ষুব্ধ করে এবং ছিটমহলগুলি নিয়ন্ত্রণের দাবিকে জোরদার করে।
২০১২-১২ মরোক্কায় বিক্ষোভের সময় হাজার হাজার মানুষ রাবাত ও দেশের অন্যান্য শহরে সমাবেশ করে রাজনৈতিক সংস্কার এবং রাজার ক্ষমতা রোধকারী একটি নতুন সংবিধানের আহ্বান জানায়। ২০১১ সালের জুলাই মাসে আরব বসন্তের প্রতিবাদকে শান্ত করার জন্য রাজা একটি সংস্কারকৃত সংবিধানের উপর গণভোটে বিজয় লাভ করেন। রাজা কর্তৃক সংস্কার করা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা আরো গভীর সংস্কারের জন্য আহ্বান জানাতে থাকে। ২০১২ সালের মে মাসে কাসাব্লাঙ্কায় একটি ট্রেড ইউনিয়ন সমাবেশে শত শত লোক অংশ নেয় এবং অংশগ্রহণকারীরা সরকারকে সংস্কারে ব্যর্থতার জন্য অভিযুক্ত করে।
↑ Field Projects – Jebel Irhoud ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে. ↑ Oldest Homo sapiens fossil claim rewrites our species' history ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে News. ↑ Rubella, D. (১৯৮৪)। "Environmentalism and Pi Paleolithic economies in the Maghreb (c. 20,000 to 5000 B.P.)"। From hunters to farmers the causes and consequences of food production in Africa। University of California Press। পৃষ্ঠা 41–56। আইএসবিএন 978-0520045743। ↑ Achilli, A.; Rengo, C. (২০০৫)। "Saami and Berbers—An Unexpected Mitochondrial DNA Link": 883–886। ডিওআই:10.1086/430073। পিএমআইডি 15791543। পিএমসি 1199377। ↑ The Megalithic Portal and Megalith Map। "C. Michael Hogan, Mogador: Promontory Fort, The Megalithic Portal, ed. Andy Burnham"। Megalithic.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১০। ↑ Moscati, Sabatino (2001) The Phoenicians, Tauris, আইএসবিএন ১-৮৫০৪৩-৫৩৩-২ ↑ Livy Ab Urbe Condita Libri 29.30 ↑ Abun-Nasr 1987, p.33 ↑ Abun-Nasr 1987, pp. 33–34 ↑ Ramirez-Faria, Carlos (২০০৭)। Concise Encyclopaedia of World History। আইএসবিএন 978-81-269-0775-5। ↑ Universalis Encyclopedia। ↑ Encyclopædia Britannica। ↑ Encyclopædia Britannica। ↑ Jamil M. Abun-Nasr (২০ আগস্ট ১৯৮৭)। A History of the Maghrib in the Islamic Period। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0-521-33767-0। ↑ "Morocco (Page 8 of 9)". ↑ "Joint Statement by the United States of America and the Kingdom of Morocco"। whitehouse.gov। ২২ নভেম্বর ২০১৩ – National Archives-এর মাধ্যমে। ↑ USA (NA) International Business Publications (২০০৪)। Morocco Foreign Policy And Government Guide। Int'l Business Publications। পৃষ্ঠা 114–। আইএসবিএন 978-0-7397-6000-0।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] ↑ Kozaryn, Linda D.। "Cohen Renews U.S.-Morocco Ties"। U.S. Department of Defense। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০০৯। ↑ Roberts, Priscilla H. and Richard S. Roberts, Thomas Barclay (1728–1793): Consul in France, Diplomat in Barbary, Lehigh University Press, 2008, pp. 206–223 আইএসবিএন ০৯৩৪২২৩৯৮X. ↑ "Milestones of American Diplomacy, Interesting Historical Notes, and Department of State History"। U.S. Department of State। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭। ↑ Pennell, C. R. (২০০০)। Morocco since 1830: A History। New York University Press। পৃষ্ঠা 40। আইএসবিএন 978-0814766774। ↑ Hirschberg, H. Z (১৯৮১)। A history of the Jews in North Africa: From the Ottoman conquests to the present time / edited by Eliezer Bashan and Robert Attal। BRILL। পৃষ্ঠা 318। আইএসবিএন 978-90-04-06295-5। ↑ Furlong, Charles Wellington (১৯১১)। "The French Conquest Of Morocco: The Real Meaning Of The International Trouble": 14988–14999। ↑ "Morocco tackles painful role in Spain's past ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে," Reuters 14 January 2009. ↑ Immigration and Refugee Board of Canada, Morocco: Date of the abolishment of slavery in Morocco; whether descendants of ex-slaves are singled out in any way; and fate of the Palace household and grounds staff when King Mohamed V was in exile ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে, 13 August 1999, MAR32476. ↑ Porch, Douglas; Spain's African Nightmare; MHQ: Quarterly Journal of Military History; (2006); 18#2; pp. 28–37. ↑ "Morocco (Page 9 of 9)". ↑ "Morocco profile – Timeline"। BBC News। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৩। ↑ Encyclopædia Britannica। ↑ "Yahoo! Groups"। groups.yahoo.com। ↑ "Morocco's king pardons satirist"। BBC News। ৭ জানুয়ারি ২০০৪।